ক্রঃ নং | দর্শনীয় স্থানের নাম ও বিবরণ | কিভাবে যাবেন/যোগাযোগের ব্যবস্থা | আবাসন ব্যবস্থা |
০১ |
কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম সেন্টার খুলনার সাতক্ষীরা রেঞ্জের অধীনে সুন্দরবনের পশ্চিম অংশে অবস্থিত কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক (Kalagachia Eco Tourism Park) ও টহল ফাঁড়ি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি পর্যটন কেন্দ্র। কলাগাছিয়া ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রটির একদিকে লোকালয় ও আরেক পাশে সুন্দরবন, আর মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে খোলপেটুয়া নদী। বন পেরিয়ে নদী পথে খাল পার হয়ে কলাগাছিয়া যেতে হয়। লোকালয় পার হয়ে সুন্দরবনের পশ্চিম বনের ভিতর দিয়ে কলাগাছিয়া যাওয়ার সময় দুই ধারের সারি সারি বন মুগ্ধ করে। ইকো ট্যুরিজম ঘাটে ট্রলার ভিড়লেই অসংখ্য বানরের দেখা মিলে। মূল অংশে ঢোকার পথে আছে, পল্টন, লোহার তৈরি একটি ব্রিজ। এই ব্রিজ পার হলে একটি রেস্ট হাউজ ও কাঠের তৈরি আরেকটি ব্রিজ নজরে আসে। কাঠের সেতুর দুই পাশে আছে খলিশা, গরান, সুন্দরী, গোলপাতা, পশুর, কেউড়া ও বাইন গাছের সারি। আর বনের ভিতরে আছে বানর ও হরিণের দল। ওয়াকওয়ে দিয়ে সামনে এগিয়ে পাঁচতলা ওয়াচ টাওয়ার থেকে পাখির চোখে সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম সেন্টারে আরও দেখতে পাবেন, কুমির প্রজনন কেন্দ্র, ছবি তোলার স্থাপনা, বসার জন্য গোলপাতার ছাউনি গোলঘর। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির কাকঁড়া, মাছ ইত্যাদি। |
সুন্দরবনের কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রে যেতে হলে প্রথমে সাতক্ষীরা জেলায় আসতে হবে। ঢাকা থেকে সোহাগ, এসপি গোল্ডেন লাইন, হানিফ পরিবহনের বাসে পদ্মা সেতু হয়ে সাতক্ষীরা যেতে পারবেন। ভাড়া পরবে বাসের মানভেদে নন এসি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, এসি ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ অথবা নীলডুমুর ঘাট থেকে ট্রলারে কলাগাছিয়া যেতে হয়। মুন্সগঞ্জ ফরেস্ট অফিস এবং বুড়িগোয়ালিনী ফরেস্ট অফিস হতে পাস নিয়ে কলাগাছিয়া ইকো ট্যুরিস্ট স্পটে যেতে হয়। ১।নীলডুমুর খেয়া ঘাট থেকে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারে কলাগাছিয়া যেতে ৪৫-৫৫ মিনিট সময় লাগে। ২০-২৫ জনের একটি ট্রলারের ভাড়া ১৯৫০ টাকা । ২। মুন্সিগঞ্জ ট্যুরিস্ট ঘাট হতেও সুুন্দরবনের ভিতর দিয়ে বনের সৌন্দার্য দেখতে দেখতে যাওয়া যায়। কলাগাছিয়া পয়েন্টে যেতে প্রায় ২ থেকে ২.৫ ঘন্টা সময় লাগে। ট্রলার ভাড়া ছোট -বড় ৩৫০০, ৪০০০ টাকা । |
কোথায় থাকবেন সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরা শ্যামনগরের উল্লেখযোগ্য আবাসিক হোটেল ও রিসোর্টের মধ্যে সুশিলন টাইগার পয়েন্ট , রিসোর্ট, মুন্সিগঞ্জ ,বর্ষা রিসোর্ট, কলবাড়ি এবং সুন্দরবন হোটেল, শ্যামনগর, হোটেল সৌদিয়া, শ্যামনগর, হোটেল সোনার বাংলা, শ্যামনগর, উৎসব বাগান, রূপসী বাংলা, শ্যামনগর আবাসিক হোটেল। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন কতৃর্ক পরিচালিত সুন্দরবন সংলগ্ন আকাশলীনা ইকে ট্যুরিজম সেন্টার, রেস্ট হাউস। কো থায় খাবেন সুশিলন এবং বরসা রিসোর্টে খাওয়ার সু-ব্যবস্থা আছে। এছাড়া সাতক্ষীরা সহরে শহরে সোনারগাঁও হোটেল, পানসি রেস্টুরেন্ট, লেক ভিউ ক্যাফে, সাদিয়া হোটেল ও স্বপ্ন রেস্তোরাঁর মতো বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সুন্দরবনের নদীর মাছ, গলদা ও বাগদা চিংড়ি, সাতক্ষীরা সন্দেশ, সুন্দরবনের খাঁটি মধু ও চুই ঝালের খ্যাতি রয়েছে বিশ্বজোড়া। |
০২ |
আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টার শ্যামনগর থানাধীন আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারটি স্পটটি একেবারে সুন্দরবন সংলগ্ন। এখানে ০২ টি রেস্ট হাউস আছে, হাটার জন্য কাঠের ব্রিজ , বসার জন্য গোলঘর, এবং পার্কের সাথে নদী এবং সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য মনোরম বাতাস, মাঝে মাঝে সুন্দরবনের হরিণ, বানর দেখা যায়, এছাড়া ০১ টি ফিস মিউজিয়াম আছে, সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির নদীর মাছের কঙ্কাল আছে। |
আকাশলীনা ইকো ট্যুরিজম সেন্টারটিতে যেতে হলে সাতক্ষীরা শহর হতে গাড়ি যোগে শ্যামনগর হয়ে মুন্সগঞ্জ বাজারে আসতে হবে। মুন্সিগঞ্জ বাজার হতে সামনে আধা কি.মি. অতিক্রম করে স্পটিতে যাওয়া যায়। টিকিট কাউন্টারে মাথা পিছু ২০/- টাকা টিকিট নিয়ে সারাদিন অবস্থান করতে পারবেন। পার্কের সাথে চা নাস্তার জন্য কিছু দোকান আছে। |
কোথায় থাকবেন এবং কোথায় খাবেন তা উপরে উল্লেখ করা আছে। |